বেহাল দশা তিতার পাড়া কবরস্থান সড়কের

হাবিবুর রহমান সোহেল,নাইক্ষ্যংছড়ি ◑

রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের তিতার পাড়ার আবাসিক সড়ক (অভ্যন্তরীণ কবরস্থান সড়ক) বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে।

বিগত ৫ বছরে এই সড়কে কোন উন্নয়ন কর্মকান্ড না হওয়ায় বর্তমানে সড়ক গুলো দিয়ে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যার ফলে ইউনিয়নের সদরের সাথে অধিকাংশ সড়কে গাড়ী যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।

ইউপি চেয়ারম্যান ও অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে সমন্বয়হীনতার অভাবে ছোট ছোট কাজ গুলোর উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক এক জনপ্রতিনিধি জানান, চেয়ারম্যান নিজের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উন্নয়নের রুপরেখা দিলেও সদস্যদের প্রতিশ্রুতি রক্ষায় কোন প্রকার উদ্যোগ গ্রহন করছে না। এভাবে চলতে থাকলে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে এলাকার মানুষদের মুখ দেখানো যাবে না বলেও জানান তিনি।

ইতিমধ্যে, গর্জনিয়া বাজার থেকে দৌছড়ি তিতার পাড়া প্রধান সড়ক ও তিতার পাড়া আবাসিক সড়কের সাথে যোগাযোগ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে, ওই কবরস্থান সড়ক দিয়ে আলাচলরত ডিককুল ও পূর্বতিতার পাড়ার হাজারও মানুষের। তাছাড়া কচ্ছপিয়া- গর্জনিয়ার এক মাত্র সবুজ শাক সবজি ও ক্ষেত খামারের জন্য পরিচিতি, তিতার পাড়া চরেও ব্যবসায়ীসহ নানা পেশার মানুষের চলাচল ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্ত ভোগীরা।

পল্লি চিকিৎসক ওসমান গনি জানান, বর্তমানে ওই সড়কে কাদা মাটিতে পরিণত সহ বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দ ও ছোট ছোট পুকুররুপ ধারণ করেছে। বিগত দিনে এসব সড়ক দিয়ে সিএনজি, অটোরিক্সা, মোটর সাইকেল চলাচল করলেও, বর্তমানে যানবাহন চলাচলতো দূরের কথা মানুষ পায়ে হেটে পর্যন্ত চলাচলের সুযোগ নেই।

ডিককুল এলাকার ফরিদ জানান, তাদের এলাকাতে প্রায় ৫ হাজারেরও বেশি লোক এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করত। এখন রাস্তাটি এত খারাপ হয়েছে যে, মানুষ চলাচল করার মতো নাই। তাই দ্রুত ওই কবরস্থান সড়কটি সংস্কার করার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

একই এলাকার সুবল দাশ, বাদল দাশ ও স্বপনসহ শতাধিক লোক জানান, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে চলাচলে এই রাস্তাটি হাটার অনুপযোগী হয়ে যায়। সংস্কারের জন্য লিখিত আবেদন করলেও জনপ্রতিনিদের কোন ধরনের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড দেখা যায়নি। তবে সম্প্রতি ওই এলাকায় বাদল দাশের বাড়ি পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু ইসমাইল মোঃ নোমান ঘটনাস্থল পরির্শনকালে, রাস্তাটি বেহাল দশা দেখে সংস্কারের আশ্বাস দেন। তবে এই ঘটনায় মাস পেরিলে গেলেও এখনও রাস্তাটি আলোর মুখ দেখি নি বলে অভিযোগ করেন এলাকার মানুষ।

এবিষয়ে ভোক্তভোগীরা রামু ককসবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমলসহ রামু উপজেলা প্রশাসনের আলোচিত সফল ইউএনও প্রনয় চাকমার হস্তক্ষেপ কামানা করেন।